সহশিক্ষা কার্যক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
সালমা জাহান | প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২২
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) শুধু পড়াশোনা ও গবেষণাতেই নয়, সহশিক্ষা কার্যক্রমেও সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠান আর নানান কর্মসূচিতে বছরের ১২ মাসই ক্যাম্পাসকে মাতিয়ে রাখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলো।
খুবির সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে নৃ-নাট্য, থিয়েটার নিপুন, থার্টি ফাইভ এম এম, খুলনা ইউনিভার্সিটি ফোটোগ্রাফিক সোসাইটি, বাঁধন , র্স্পাক, চেতনা ৭১, রিদম, খুলনা ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ভৈরবী, কৃষ্টি, ওঙ্কার শৃনুতা, নৈয়ায়িক, নয়েজ ফ্যাক্টরি, ছায়াবৃত্ত পাঠক ফোরাম, বায়স্কোপ, রোটার্যাক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটি।
নবীন শিক্ষার্থীরা এলে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন মেলার আয়োজন করা হয়। প্রতিটি সংগঠনের কাজ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য দেখেশুনে নবীন শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ মাফিক সংগঠনে যুক্ত হন। সময় যাওয়ার সাথে সাথে তারা সংগঠন থেকে নেতৃত্ব দান, দলে কাজ করা ছাড়াও আরো অনেক নতুন কিছু গুণাবলি অর্জন করেন যা তাদের কর্মজীবনে অবদান রাখবে।
খুলনা ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাব-এর ল্যাংগুয়েজ সেগমেন্ট এর ডিরেক্টর তাহসিন তাবাসসুম তাসিন জানান, “শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা কর্মজীবন সম্পর্কে সেইভাবে নির্দেশনা পায় না। ক্যারিয়ার ক্লাবে একজন শিক্ষার্থীকে এমনভাবে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় যেন সে কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে না পরে। এই লক্ষ্যে সংগঠনটি বিভিন্ন রকমের শিক্ষামূলক কর্মশালা আয়োজন করে থাকে যার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারেন।”
রোটার্যাক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটি-এর সহ-সভাপতি নিগার সুলতানা বলেন, “রোটার্যাক্ট ক্লাব শিক্ষার্থীদের সামাজিক গঠনমূলক কাজে বরাবরই উৎসাহ দিয়ে আসছে। শীতের সময় কয়রার শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল, ওষুধ, খাবারের ব্যবস্থা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের অসহায় শিশুদের শিক্ষা সংক্রান্ত উপকরণ প্রদান করেছে। এছাড়াও সংগঠনের সদস্যদের জন প্রতি সপ্তাহে পাব্লিক স্পিকিং এর ব্যবস্থা করা হয়। নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়।”
নাচের সংগঠন রিদম-এর সদস্য সাবরিনা মমতাজ তিতলি বলেন, “সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নৃত্যর প্রভাব অনেক। অনেকেই নাচতে আগ্রহী থাকে। তাদের নিয়েই মূলত সংগঠনটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রিদমের সদস্যরা নৃত্য পরিবেশন করে।”
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মাজিদুল ইসলাম বলেন, “সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়া প্রয়োজন। তাদের ধারণা, মনন ও মানসিকতার বিকাশ ঘটাতে সংগঠনগুলো সাহায্য করছে। সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এটা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই জরুরী।”