লাগামহীন আবাসন ভাড়া, ভোগান্তিতে খুবির শিক্ষার্থীরা
রুকাইয়া কবির | প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২২
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর সড়ক, মূল ফটকের সামনে ও আশেপাশের মেসগুলোতে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই অসহায়ত্বকে জিম্মি করে চড়া দামে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন মেস মালিকরা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্যাঁতস্যাঁতে ঘর, আলো-বাতাস নেই, অন্ধকার। নেই খাবার পানি ও সাওবমিটারের ব্যাবস্থা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। পয়োনিষ্কাশন ব্যাবস্থাও ভালো না। ময়লা পরিষ্কার করবার জন্য কেউ আসেনা। অথচ আলাদা টাকা দিতে হয়। এমন একেকটি ১৪০-১৬০ স্কয়ার ফিট আয়তনের রুমের জন্য ৩৫০০-৪০০০ টাকা ভাড়া গুণতে হয় তাদের।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, মেস মালিক এবং কেয়ারটেকাররা শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। রুমের আয়তনের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া নেন। অথচ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা ভালো নয়। মাঝে মধ্যেই ঘর থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি যায়। আবার বছর ঘুরলেই মালিকপক্ষ ফ্ল্যাট প্রতি এক থেক দেড় হাজার টাকা এবং রুম প্রতি ৩০০-৪০০ টাকা বেশি ভাড়া দাবি করেন।
অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ সাদমান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়টি শহরের মধ্যে না হলেও ভাড়ার দিক থেকে খুলনার অন্যান্য আবাসিক এলাকাগুলোকেও হার মানায়।”
তবে মার্চ মাস থেকে মালিক পক্ষ বাসা ভাড়া কিছুটা কমিয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রতি বর্গফিট ১৭ টাকা হারে ভাড়া নিতে রাজি হয়েছেন ছাত্রাবাসের মালিকদের একাংশ। যারা এই চুক্তিতে রাজি হননি তারাও আগের থেকে কিছু পরিমাণ ভাড়া কমিয়ে নেওয়া শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে মাছরাঙা ছাত্রাবাসের মালিক মিলন রহমান জানান, “একরকম চাপের মুখে পড়েই বাসা ভাড়া কমাতে বাধ্য হয়েছি। ভাড়া কমানোর কারণে আগে যে বাসায় থাকতাম সেটা ছেড়ে নিজের বাড়িতে উঠতে হয়েছে। অন্যদিকে লোনের টাকা শোধ করতেও হিমশিম খাচ্ছি। বাড়িটি ব্যবসায়িক উদ্যোগে তৈরি করলেও তা এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”