Saturday, May 18, 2024
Saturday, May 18, 2024

রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটি: পথচলার ২২ বছর

সাদমান সাকিব | প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২২

Share on facebook
Share on email
Share on print
Share on twitter
Share on whatsapp
রোটার‍্যাক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটির আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে উপস্থিত ক্লাবের সদস্যরা।

‘থার্স্ট অপ্টিমিস্টস ২.০’ কুইজ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের খেলা চলছে। প্রতি মুহূর্তেই টান টান উত্তেজনা। শেষ ২০টি প্রশ্নে ৪ ফাইনালিস্টের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। কখনো এগিয়ে যাচ্ছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) মহসিন হাবিব। আবার খানিক পরেই তাকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) মেহেদি হাসান। কে জিতবে? মেহেদি না কী মহসিন? হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জমে উঠেছে প্রতিযোগিতা। শেষ পর্যন্ত মহসিনের ভুলের সুযোগ নিয়ে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে নেয় রুয়েটের মেহেদি। সেইসাথে পর্দা নামে ‘রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটি’ আয়োজিত আরও একটি সফল অনুষ্ঠানের।

রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটি একটি সমাজ সেবামূলক সংগঠন। আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘রোটারী ক্লাব’ এর অঙ্গ সংগঠন হিসেবে নেতৃত্বগুণ অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম সংগঠন হিসেবে রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব খুলনা ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এই সংগঠনের মূলমন্ত্র হলো- ‘সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট – ফেলোশিপ থ্রু সার্ভিস।’

সংগঠনটির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংগঠনটি দুই ভাগে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে- সমাজ সেবামূলক কার্যক্রম এবং আত্ম-উন্নয়নমূলক কার্যক্রম। প্রতি বছর প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যদের অর্থায়নে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান, রমজানে ইফতার সামগ্রী বিতরণ, ঈদে নতুন জামা প্রদান, রক্ত সরবরাহ, বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ, শিশুদের জন্য শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, বন্যা কবলিত মানুষের জন্য আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া কুইজ প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ আরও বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে চলেছে সংগঠনটি।

আরও জানা যায়, সংগঠনটি ক্যারিয়ার সহায়ক বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। যেমন, করোনার কারণে গত বছর এই সংগঠনের সৌজন্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ৩০তম বিসিএসে রেকর্ড নম্বর প্রাপ্ত ও প্রথম স্থান অধিকারী সুশান্ত পালের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিল। এছাড়া পাওয়ার পয়েন্ট, সিভি মেকিংসহ আরও বিভিন্ন সফট স্কিলের ওপরে প্রতিনিয়তই কর্মশালা আয়োজন করা হয়। করোনা মহামারীতেও তাদের কর্মসূচি থেমে ছিল না। তবে সবই ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজন করা হয়েছিল।

যাত্রা কিভাবে শুরু করেছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সেক্রেটারি এবং বর্তমানে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মো. আকতার হোসেন বলেন, “সামাজিক কর্মকান্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, আত্মউন্নয়ন এবং নেতৃত্বসহ অন্যান্য সামাজিক গুণাবলী বিকাশের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছিলাম।”

সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি মাহামুদুল হাসান মিল্লাত বলেন, “বর্তমানে আমরা করোনা রোগীদের সেবায় বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবার কার্যক্রম চালু রেখেছি যেটি গতবছর শুরু হয়েছিল। এছাড়া গত মাসে আমরা খুলনার কয়রায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। ক্লাবের সদস্যদের আত্মউন্নয়নের পাশাপাশি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমরা সবসময় বদ্ধপরিকর।”

Share on facebook
Share on email
Share on print
Share on twitter
Share on whatsapp

আরও পড়ুন