যৌন নিপীড়নের বিচারের দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ২২ মে ২০২২
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানোর দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
রোববার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এ মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা একাত্মা প্রকাশ করে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, খুবির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন একাডেমিক অ্যাসাইনমেন্টের কাজে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সদস্য ও কথিত সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম নিরবের কাছে গেলে শ্লীলতাহানির শিকার হোন। অভিযুক্ত নিরব পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনার দাবি জানান। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার না হলে আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দেন তারা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘একজন সাংবাদিক যিনি কি না মানুষের অধিকার নিয়ে লেখেন, তার দ্বারা এমন ঘৃণ্য অপরাধ আমাদের ব্যথিত করে। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব বলেন, ‘আজ আমাদের সমাজে শুধু অশিক্ষিত মানুষ নয়, শিক্ষিত ও তথাকথিত প্রগতিশীল মহলের মানুষ দ্বারাও এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। আমাদের বোনের সাথে যা ঘটেছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার না হলে মানববন্ধনে সীমাবদ্ধ না থেকে আরও বড় পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব আমরা।’
উল্লেখ্য, খুবির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নিজ জেলা ঝিনাইদহের স্থানীয় কথিত সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম নিরব কর্তৃক গত ১০ মে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন। জোরপূর্বক তার রুমে শ্লীলতাহানির হানির চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সেখান থেকে চলে আসেন। পরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি আপনজনদের জানান ও ১২ মে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।