খুবির হল রোডে বাহারি সব জুসের সমাহার
উজ্জ্বল সরদার | প্রকাশ: ১৭ মে ২০২২
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম নগর এলাকাটি ‘হল রোড’ নামে পরিচিত। এখানে রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে হরেক রকমের জুসের জমজমাট ব্যবসা করে আসছে দোকানীরা। ক্লাসের ফাঁকে অবসর সময়ে গল্প আড্ডা মেতে উঠতে কিংবা ক্লান্তির অবসাদ কাটাতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভরসা এই সকল দোকানের জুস। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ছাড়াও দূর দুরান্ত থেকে এখানে জুস খাওয়ার জন্য শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি নানা বয়েসের মানুষও ভিড় করে।
দোকান ব্যবসায়ী মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে প্রায় ৩০ ধরনের জুস পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে- কাজু বাদামের জুস, লেবুর জুস, দই-কলা লাচ্ছি, কাঁচা ও পাকা আমের জুস, অরেঞ্জ লাচ্ছি, পেঁপের জুস, আপেলের জুস, তেঁতুলের জুস, লেমন জুস, বেলের জুস, মাঠা, ভেজাল, লিচুর জুস, বিলম্বের জুস, আনারসের জুস, মাল্টার জুসসহ হরেক রকমের জুস।
এসব ঠাণ্ডা পানীয় সারা বছর সমানতালে বিক্রি হলেও গ্রীষ্মেই ক্রেতা সমাগম সবচেয় বেশি। ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে অধিকাংশ জুস কিনতে পাওয়া যায়। অন্যান্য জায়গার থেকে তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় এখানে লোক সমাগম বেশি হয়। প্রতিদিন তুলনামুলক গড়ে প্রত্যেক দোকান মালিকেরা প্রায় ৪ হাজার টাকার জুস বিক্রি করার কথা জানান।
বর্তমানে হল রোডে প্রায় ১৫টির মতো শুধু জুসের দোকান চালু আছে, যা এখানকার অনেক মানুষের কর্মসংস্থান জুগিয়েছে। এর মধ্যে সালাম জুস কর্ণার, কাদের জুস কর্ণার, সিদ্দিক জুস কর্ণার, নুহা জুস কর্ণার, লিটন জুসের দোকান, ইব্রাহিম জুসের দোকান এবং রাসেল জুসের দোকান ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি।
সালাম জুস কর্ণার দোকানের মালিক সালাম হাওলাদার বলেন, ‘গরমের কারণে পূর্বের তুলনায় দোকানে প্রচুর ভিড় হয়। দেশি ফলের প্রায় সব জুসই এখানে বিক্রি হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লিটার জুস বিক্রি হয়। এছাড়া আমরা অনলাইনেও অর্ডার নিয়ে থাকি।’
ইদানীংকালে জুসের পাশাপাশি কোল্ড কফির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। রেস্তোরাঁ বা ছোট ছোট দোকানে এখন কোল্ড কফি বিক্রি হচ্ছে। আর রাস্তার অলিগলিতে প্রায় সব খাবারের দোকানেই মৌসুমি ফলের জুসের চাহিদা এখন বেশি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সৈকত রায় বলেন, ‘হল রোডের পাশেই আমার বাসা। বাইরে খেতে বের হলেই এলাকার জুসের দোকানগুলোতে যাওয়া হয়। টিউশন থেকে ফেরার পথে প্রায় প্রতি রাতেই তরমুজের জুস খাই। মৌসুমি ফলের জুসে বেশি গুরুত্ব পায় এখানে। যখন যে ফলের মৌসুম থাকে সে ফলেরই জুস বানানো হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ প্রায়ই পরিবারের সাথে এখানে জুস খেতে আসেন। তিনি বলেন, ‘ক্লাস শেষে প্রায়ই এখানে জুস খেতে আসি আমি। কাজুবাদামের জুস আমার সবচেয়ে পছন্দ।’