কতটা জমকালো হবে আরব বিশ্বের প্রথম ফিফা বিশ্বকাপ!
মোঃ আবু রায়হান হোসেন। প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২০
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে কাতারে। আরব বিশ্বে এটি হবে ফিফার প্রথম বিশ্বকাপ এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে এটিই হবে প্রথম।
কতটা প্রস্তুত কাতার! ফুটবল প্রেমিকদের মনের মধ্যে এমন প্রশ্ন থেকেই যায়। ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ আর মাত্র বাকি দুই বছর। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে তীব্র গরম থাকায় কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে শীতকালে, ২১ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বিশ্বকাপের খেলা। দায়িত্ব পাওয়ার পরই কাতার জানিয়েছিল মধপ্রাচ্য তথা আরব দুনিয়ায় প্রথমবার আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপ সব দিক থেকেই হবে অতুলনীয়।
বিশ্বকাপের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে মোট ৮ টি স্টেডিয়াম। একটি স্টেডিয়াম ছাড়া বাকি সবগুলা কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত এবং এই প্রথম একটি বিশ্বকাপ হবে যেখানে এক স্টেডিয়াম থেকে অন্য স্টেডিয়ামে যেতে এক ঘন্টা সময় লাগবে। ২০২২ সালে কাতারে অবাক করা স্টেডিয়ামের মধ্যে রয়েছে দোহার পোর্ট স্টেডিয়াম, আল বায়াত স্টেডিয়াম, কাতার ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়াম, আল শামাল স্টেডিয়াম, আল খোর স্টেডিয়াম, আল রায়ান স্টেডিয়াম এবং আম সালার স্টেডিয়াম। কাতার আশা করছে, বিশ্বকাপের সময় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ফুটবলভক্ত দেশটিতে আসবেন। বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে নতুন হোটেল নির্মাণ করা হয়েছে। এসব হোটেলে দর্শনার্থীদের জন্য প্রায় লক্ষাধিক নতুন রুম রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে কাতার বিশ্বকাপ হবে পৃথিবীর সবচেয়ে জমকালো বিশ্বকাপ। স্থানীয় আয়োজক কমিটি জানিয়েছেন, ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ আরব দুনিয়ার জন্য এক অবিস্মরণীয় ঘটনা হতে চলেছে।
কাতার বিশ্বকাপে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে তা হলো, এখানে খুব বেশি পর্যটনকেন্দ্র নেই, আছে একটি সমুদ্র সৈকত, জাদুঘর এবং অল্প কিছু পর্যটনকেন্দ্র। তাছাড়া আরো একটি সমস্যা বিদ্যমান যেটি এড়িয়ে যাওয়ার নয়। সেটি হলো, আরব বিশ্বে এখনো রাজনৈতিক সংকট কাটেনি। সৌদি আরব সংযুক্ত আরব আমিরাত বাহরাইন এবং মিশর এই চার দেশ কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে।
এই অবরোধের কারণে ওই চার দেশের ফুটবল ভক্তরা অংশগ্রহণ নিতে পারবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে কিছু সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে, কাতার বিশ্বকাপ হবে ইতিহাসের সবচেয়ে জমকালো বিশ্বকাপ। কাতার বিশ্বকাপের মাধ্যমে বহু মানুষকে মেলানোর অনেক বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এরকম একটি ইভেন্ট আরব দুনিয়ার জন্য সারা বিশ্বের কাছে নিজেদের পরিচিত করার অনেক বড় সুযোগ।
আর বাকি পৃথিবীর কাছে সুযোগ একটা অতি সুন্দর দেশে এসে নতুন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার, নতুন মানুষদের সঙ্গে মেশার, নতুন নতুন জায়গা দেখার।