Friday, April 18, 2025
Friday, April 18, 2025

ঝিমিয়ে পরেছে ইসলামনগর ছাত্র কল্যাণ সমিতির কার্যক্রম

কল্যাণ দাস | প্রকাশ: ৯ এপ্রিল ২০২২

ইসলামনগর এলাকার একটি মেস। ছবি: রাসেল

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) সংলগ্ন দুইটি এলাকা ইসলামনগর ও খানজাহাননগর। ২০২০ সালে এই এলাকার মেস মালিরা হঠাৎ করে রুম প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি মেসে থাকা শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ করে। এসময় ইসলামনগর ছাত্র কল্যাণ সমিতির সহযোগিতায় কিছুটা ভাড়া কমাতে সক্ষম হয় শিক্ষার্থীরা। তবে সংগঠনটি এখন আর আগের মতো সক্রিয় নেই।

জানা যায়, অতিরিক্ত ভাড়া কমানোর দাবি ও নানা অসংগতি তুলে ধরার জন্য শিক্ষার্থীরা একটা সংগঠনের প্রয়োজনীতা অনুভব করে। সেবছরের মার্চ মাসে খুবির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গঠিত হয় ইসলামনগর ছাত্র কল্যাণ সমিতি।

শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কাজ করা এবং খুবির সাবেক ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের বড় একটা অংশ এই এলাকাগুলোতে বসবাস করায় সংগঠনটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

সেসময় তারা অতিরিক্ত বাসা ভাড়া ছাড়াও আরও কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে। এর মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, খাবার পানির অভাব অন্যতম। শিক্ষার্থীরা বহুদিন ধরে এসব সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছিল।

সংগঠনটির সদস্য গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সজীব রহমান বলেন, “আমরা ২০১৮ সালের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিভাগীয় সদর ও জেলা শহরের পুণনির্ধারিত ভাড়ার প্রতি সামঞ্জস্য রেখে ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানিয়েছি। সে অনুযায়ী প্রতি বর্গফুটের জন্য টাইলসের রুমে ১৫ টাকা এবং টাইলস ছাড়া ১৩ টাকা নির্ধারণ করেছি। পাশাপাশি খাবার পানি ও অযৌক্তক কারণে কাউকে যেন মেস থেকে না নামিয়ে দেওয়া হয় এ সম্পর্কে মালিকদের অবগত করেছি।”

২০২০ সালের মার্চ মাসে সমিতির বৈঠক হয়। বৈঠক তেমন ফলপ্রসূ না হলেও বেশিরভাগ মেস মালিক শিক্ষার্থীদের মতামত ফেলতে পারেননি। ওই মাস থেকে শিক্ষার্থীরা সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাড়া দিতে করে। যেসব মেস মালিক এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি সেখানে বাসা ভাড়া অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখার কথা বলা হয়।

করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের উপরে মালিক পক্ষ ভাড়ার জন্য চাপ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ সময় ইসলামনগর ছাত্র কল্যাণ সমিতি প্রশাসনের কাছে আবেদনের মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করে। যার প্রেক্ষিতে ৫৫% বাসা ভাড়া মওকুফ করা হয়।

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন,“আমাদের মেস মালিক সমিতির সব সিদ্ধান্ত না মানলেও আমরা তার সাথে কথা বলে একটা মধ্যবর্তী অবস্থানে যেতে পেরেছি।” এছাড়া আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া যায়।

ইসলামনগরের মেসমালিক নাসির হায়দার বলেন,“কেউ কিছু দাবি করলে তার সবটা যেহেতু পূরণ করা সম্ভব হয় না সেহেতু ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মধ্যস্থতার মাধ্যমে আমি বিষয়টি সমাধান করেছি।”

অতিরিক্ত বাসা ভাড়ার লাগাম টানতে ও মেস মালিক পক্ষের এমন সহযোগী মনভাব তৈরির পেছনে ইসলামনগর ছাত্র কল্যাণ সমিতি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে বলে শিক্ষার্থীরা মনে করেন।

আরও পড়ুন