দেশব্যাপী করোনা, বন্যার প্রকোপ মোকাবেলায় বাঁধন
মোঃ ইয়াসিন আহমেদ। প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২০
দেশে মহামারি যেন থামবার নয়। প্রায় ৬ মাস হতে চলেছে ধীর গতীতে চলছে বাংলাদেশ। এখনো প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার জনের শনাক্ত হচ্ছে করোনা পজেটিভ।
তুলনামূলক কম মৃত্যুর হার কিছুটা স্বস্তি দিলেও করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা সংগ্রহ যেন রোগীর পরিবারে আতংক ছড়িয়ে দেয়। আর এমন পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাঁধন। এছাড়াও দেশের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় একনিষ্ঠ কাজ করে চলেছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
বিভিন্ন জেলার মোট ১১ জন বাঁধনকর্মী বর্তমানে অবস্থান করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, আরও ছয়টি সহযোগী সংগঠনের সাথে মিলে পরিচালনা করছেন ঢাকাব্যাপী প্লাজমা সংগ্রহ ও সরবরাহের কাজ। এ পর্যন্ত প্রায় ২২৫ ইউনিট প্লাজমা সরবরাহে সক্ষম হয়েছেন তারা।
জাতীয় গণমাধ্যম বাংলানিউজ২৪ডটকম এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের প্রথম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে প্লাজমা সংগ্রহে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাঁধন।
একদিকে করোনাকালীন বিপর্যয়ের মধ্যেই দেশে হানা দিয়েছে প্রবল বন্যা।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমানে তিন দফায় ৩১ জেলা বন্যায় কবলিত।
বন্যা দুর্গতাদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠন। দেশের ৩৬ জেলায় ১ হাজার ৭৯৮ পরিবারকে পরিবার প্রতি ১০ দিনের সাহায্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তারা। দেশের অসহায় মানুষের সেবা করা নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদেরও উপকার করতে ভুলেনি এ সংগঠন। ১৫০ জনেরও বেশি বাঁধনকর্মীকে অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করেছেন সংগঠন।
আর্ত মানবতার সেবায় ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রা শুরু করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাঁধন। বর্তমানে দেশের ৫৩ টি জেলার ৭৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে কাজ করছে সংগঠনটি। ২০১৯ সালে বাঁধন দেশব্যাপী প্রায় ৭৫ হাজার ব্যাগ রক্ত বিনামূল্যে সংগ্রহ ও দান করে। পাশাপাশি ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৯৭৪ জনকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ জানিয়ে দেয়।